ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

হাতিয়ায় এনজিও ঋণের ভেড়াজালে , অপমান সইতে না পেরে বিষ খেয়ে এক গ্রাহকের মৃত্যু

বিএন নিউজঃ নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেসরকারি এনজিও হীড বাংলাদেশ হাতিয়া র্কাযালয়ের কর্মকর্তারা ঋণ দেওয়ার কথা বলে শঙ্কর সাহা(৪০) নামের এক ব্যক্তিকে অফিসে এনে অপমান করে।  অপমানের শিকার হয়ে অফিসের ভিতরেই বিষ গ্রহন করে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

মঙ্গলবার(০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শঙ্করের মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য জেলা সদর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার  সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলা শহর জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে অবস্থিত হীড বাংলাদেশের  হাতিয়া অফিসের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,  শঙ্কর সাহা পেশায় একজন মোলা ও চা বিক্রেতা। এক বছর আগে হীড বাংলাদেশ সংস্থা থেকে সাড়ে ১২ % সুদে দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়। প্রায় সব কিস্তি পরিশোধ করার পর অল্প কিছু বাকি থাকতে সংস্থার প্রতিনিধিরা শঙ্করকে আশ্বস্ত করেন যে, বাকি  কিস্তি গুলো দিয়ে দিলে তাকে নতুন করে ঋণ দিবে। এই মর্মে শঙ্কর ধার করে টাকা নিয়ে বাকী ঋণ পরিশোধ করলে  তাকে নতুন ঋণ দিবে বলে অফিসে যেতে বলে। অফিসে গেলে নতুন ঋণ না দিয়ে বরং তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে অপমান করে। মৃত শঙ্কর সাহা উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের সচিন্দ্র সাহার ছেলে।

এ দিকে, হীড বাংলাদেশ এর হাতিয়া শাখা ব্যবস্থাপক কাওসার আহমেদ বলেন, শঙ্কর পূর্বের ঋণ পরিশোধ করেছে। গতকাল নতুন ঋণের জন্য আসলে- তাকে বলা হয়েছে যে, তার আগের কিস্তি পরিশোধ অনিয়মিত ছিল, তার কাজ-কাম ভাল না। এ কথাবার্তার কিছুক্ষণ পর শঙ্কর ম্যানেজারের কক্ষে বাথরুমে ঢুকে দেরী হওয়াতে তার কোন শব্দ না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করা হয়। পরে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার আরিফ জানান, রোগীর মাঝে বিষক্রিয়া থাকায় ওয়াশ করা হয় এবং অবস্থার অবনতি দেখলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়। ম্যানেজার অলক কুমার বলেন, যা হয়েছে পাশের রুমে হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। সকালে ভিকটিমের লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

 

হাতিয়ায় এনজিও ঋণের ভেড়াজালে , অপমান সইতে না পেরে বিষ খেয়ে এক গ্রাহকের মৃত্যু

হাতিয়ায় এনজিও ঋণের ভেড়াজালে , অপমান সইতে না পেরে বিষ খেয়ে এক গ্রাহকের মৃত্যু

আপডেট: ০৩:২৪:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএন নিউজঃ নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বেসরকারি এনজিও হীড বাংলাদেশ হাতিয়া র্কাযালয়ের কর্মকর্তারা ঋণ দেওয়ার কথা বলে শঙ্কর সাহা(৪০) নামের এক ব্যক্তিকে অফিসে এনে অপমান করে।  অপমানের শিকার হয়ে অফিসের ভিতরেই বিষ গ্রহন করে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।

মঙ্গলবার(০৯ সেপ্টেম্বর) সকালে শঙ্করের মৃতদেহ পোস্টমর্টেমের জন্য জেলা সদর নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার  সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলা শহর জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে অবস্থিত হীড বাংলাদেশের  হাতিয়া অফিসের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,  শঙ্কর সাহা পেশায় একজন মোলা ও চা বিক্রেতা। এক বছর আগে হীড বাংলাদেশ সংস্থা থেকে সাড়ে ১২ % সুদে দুই লাখ টাকা ঋণ নেয়। প্রায় সব কিস্তি পরিশোধ করার পর অল্প কিছু বাকি থাকতে সংস্থার প্রতিনিধিরা শঙ্করকে আশ্বস্ত করেন যে, বাকি  কিস্তি গুলো দিয়ে দিলে তাকে নতুন করে ঋণ দিবে। এই মর্মে শঙ্কর ধার করে টাকা নিয়ে বাকী ঋণ পরিশোধ করলে  তাকে নতুন ঋণ দিবে বলে অফিসে যেতে বলে। অফিসে গেলে নতুন ঋণ না দিয়ে বরং তাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে অপমান করে। মৃত শঙ্কর সাহা উপজেলার চরইশ্বর ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের সচিন্দ্র সাহার ছেলে।

এ দিকে, হীড বাংলাদেশ এর হাতিয়া শাখা ব্যবস্থাপক কাওসার আহমেদ বলেন, শঙ্কর পূর্বের ঋণ পরিশোধ করেছে। গতকাল নতুন ঋণের জন্য আসলে- তাকে বলা হয়েছে যে, তার আগের কিস্তি পরিশোধ অনিয়মিত ছিল, তার কাজ-কাম ভাল না। এ কথাবার্তার কিছুক্ষণ পর শঙ্কর ম্যানেজারের কক্ষে বাথরুমে ঢুকে দেরী হওয়াতে তার কোন শব্দ না পেয়ে বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তাকে বের করা হয়। পরে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে দায়িত্বরত ডাক্তার আরিফ জানান, রোগীর মাঝে বিষক্রিয়া থাকায় ওয়াশ করা হয় এবং অবস্থার অবনতি দেখলে তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার প্রস্তুতিকালে তার মৃত্যু হয়। ম্যানেজার অলক কুমার বলেন, যা হয়েছে পাশের রুমে হয়েছে।

এ বিষয়ে হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়। সকালে ভিকটিমের লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এবং পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।