হাতিয়ায় ওয়ারিশ সনদ থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে ইউপি মেম্বার-চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন
?????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????????
বিএননিউজঃ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পারিবারিক ওয়ারিশ সনদ থেকে নাম বাদ দেওয়ার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের এক সদস্য।
সোমবার দুপুরে হাতিয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভুক্তভোগী মোঃ রায়হান (৩৯)। এ সময় তার স্ত্রী আইরিন আক্তার, তিন শিশু সন্তান উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে মো. রায়হান জানান,সে হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মন্নান ও জাহানারা বেগমের সন্তান। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সে তৃতীয়। তার অভিযোগ, পারিবারিক ওয়ারিশ সনদ করতে গেলে তার ভাই ও বোনদের প্ররোচনায় অবৈধ ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে উক্ত ইউনিয়নের পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলতাফ হোসেন ও (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন মোল্লা তার নাম ওয়ারিশ সনদ থেকে বাদ দেন।
ওয়ারিশ সনদ থেকে আমার নাম বাদ পড়ায় আমি সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপদে পড়েছি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ অবস্থায় চলমান মুক্তিযোদ্ধাদের পারিবারিক/ওয়ারিশ সনদ এমআইএস ভুক্তকরণ কর্মসূচির আওতায় তাকে পরিবারের সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেন । একই সঙ্গে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার ভাই সেনাসদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহিম, পুলিশ সদস্য শরীফ উদ্দিন ও মো. আবদুর রবের দ্বারা আমি বিভিন্ন সময়ে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছি। পিতার সম্পত্তি থেকে তাকে বঞ্চিত করার উদ্দেশ্যে তার দুই বোন সুলতানা আক্তার ও শাহেনা বেগম,ভাইদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থাপিত কাগজপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়—হাতিয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার কাজী আওরঙ্গজেব স্বাক্ষরিত প্রত্যয়নপত্রে মোঃরায়হানকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মন্নানের প্রকৃত সন্তান হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পিতার মুক্তিবার্তা নম্বর ০২০৯০৬০১৭৯। এছাড়া ২০০৪ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেট (নং-২৯৩৭), সাময়িক সনদ নং-ম-৪৫৫০০ এবং ২০১০ সালের ভোটার তালিকা নং-১৬৭-এও তার পরিচয় সংরক্ষিত রয়েছে।