নিজস্ব প্রতিবেদকঃ নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার চর জুবলি ইউনিয়নের পাংখার বাজারস্থ পাংখার বাজার হাই স্কুলটি  অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনায় ভেঙ্গে পড়েছে  শিক্ষা কার্যক্রম। স্কুলটি ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এলাকায় শিক্ষিত সচেতন মানুষের সংখ্যা কম থাকায় প্রভাবশালী মহল  ও ক্ষমতাসীন জনপ্রতিনিধিদের ছত্রছায়ায় নানা প্রকার অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে চলছিল বিদ্যালয়টি।

বিগত সরকারের মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান এমপিও ভুক্তির  আওতায় ২০২২ সালে  মাত্র একজন ধর্মীয় সহকারী শিক্ষক নিয়ে স্কুলের এম পি ও ভুক্তি  সম্পন্ন হয়। ক্ষমতার পালাবদলের পর স্কুলের সভাপতি প্রদশূন্য হওয়ায় বর্তমান সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের এ বিষয়ে  আন্তরিকতা থাকলেও সংশ্লিষ্ট মহল  ও পূর্বের পরিচালনা কমিটির আধিপত্য বিস্তারের কারণে কোন প্রকার সংস্কার ছাড়াই পূর্বের নিয়মে সকল কার্যক্রম অব্যাহত আছে। নিম্ন মাধ্যমিক অনুমোদন থাকলেও অন্য প্রতিষ্ঠানের সহায়তায়  বিগত কয়েক বছর  পর্যন্ত স্কুলে এসএসসি শিক্ষা কার্যক্রম  চালু হয়ে আসছে।

প্রায় চার শতাধিক শিক্ষার্থীর জন্য প্রধান শিক্ষক সহ পাঁচজন  শিক্ষক শিক্ষাদান করে আসছিল,  কিছুদিন আগে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ  গ্রহণ করা হলেও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নানা কেলেঙ্কারির জন্ম দিয়ে অবশেষে দুইজন শিক্ষক সহ সর্বমোট সাতজন শিক্ষক নিয়ে চলছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম। এলাকার অভিবাবক স্থানীরা  জানান, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের রাজনৈতিক প্রভাব থাকায় সংস্কার বিষয়ে অন্যরা মতামত রাখলেও নানা প্রতিবন্ধকতা এবং  হেনস্তার শিকার হতে হয়। কোন প্রকার জবাবদিহিতা না থাকায় স্কুলের বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা ও আয় ব্যয় সংক্রান্ত  সঠিক কোন হিসেব-নিকেশ নাই ।

এ বিষয়ে বর্তমান সভাপতি উদ্যোগী  হলেও কোন এক অজানা কারণেই পদক্ষেপ গ্রহণ করা ছাড়াই আলোচনার পরিসমাপ্তি ঘটে। স্কুলের বর্তমান সভাপতি নির্বাহী অফিসার মহোদয়ের  শত চেষ্টা থাকলেও স্কুল সংশ্লিষ্টরা  কোন প্রকার জবাবদিহিতা ছাড়াই পূর্বের ন্যায় অগোছালো কার্যক্রম  পরিচালনা  করে আসছে।  সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় স্কুলের সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা একই পরিবারের ভাই বোন , স্বামী স্ত্রী এবং স্কুল সংলগ্ন আরো একটি নিম্ন মাধ্যমিক প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। এ মতাবস্থায় স্কুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে মানুষের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে, কেউ কেউ মনে  করেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসার কে ম্যানেজ করেই চলছে এমন কার্যক্রম।

বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর না হলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, পরিচালনা কমিটি, ও চলমান অনিয়মের সংস্কার  এবং পরিবর্তন অদূর ভবিষ্যতে কখনোই সম্ভব নয়। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এলাকার  মানুষকে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার সহিত সম্পৃক্ত করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ   গ্রহণের জোর দাবি এলাকার  মানুষের।

এ ব্যপারে সুবর্ণচর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার  কবির আহমদের  সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের  করা হলে তিনি  এ প্রতিবেদককে জানান ডিসেম্বর-২৪ পর্যন্ত বর্তমান অস্থায়ী নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে ক্লাস চলবে পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী আমরা স্থায়ীভাবে শিক্ষক নিয়োগ দিবো। আমার বিরুদ্ধে অনীত অভিযোগ মিথ্যা।