নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাজারে ‘মিনিকেট’ বা ‘নাজিরশাইল’ নাম দিয়ে চাল বিক্রি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বস্তার ওপর ধানের জাতের নাম লেখা ‘বাধ্যতামূলক’ করে নীতিমালা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ‘মিনিকেট জাত’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “আমরা গবেষণা করে দেখতে পেয়েছি ধান কেটে যে চালই উৎপাদন করা হচ্ছে, তার নাম দেওয়া হচ্ছে মিনিকেট। এ কারণে আমরা একটি ছাঁটাই নীতিমালা করছি।”

সচিব জানান, সাধারণভাবে ধানের সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ ছাঁটাই করা যায়, কিন্তু দেখা যাচ্ছে ৩০ ভাগ পর্যন্ত ছাঁটাই করে মিনিকেট নাম দিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এতে পুষ্টিঝুঁকি তৈরি হচ্ছে।

মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, “ব্র্যান্ডিং আপনি যে নামেই করেন না কেন, আপনাকে মূল ধানের সোর্স লিখতে হবে। যদি গরুর মাংস বিক্রি করা হয়, তাহলে লিখতে হবে গরু। মহিষের মাংস গরু লিখে বিক্রি করতে পারবেন না।”

তিনি বলেন, “চালের ব্র্যান্ড নাম যাই হোক, বস্তার উপরে অবশ্যই ধানের নাম লিখতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “মিনিকেট বা নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে, সেগুলো জিরাসাইল, শম্পা কাটারি- এ দুই ধরনের ধান থেকেই বেশি হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “ব্র্যান্ড তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। বিআর২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও মিনিকেটই খুঁজি।”

এসময় সাদা স্বচ্ছ চালের পরিবর্তে খাদ্যমন্ত্রী সবাইকে দেশি জাতের লাল চাল খাওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তেলের দামের কারণে চালের বাজারে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। বাসের ভাড়ার সঙ্গে ট্রাকের ভাড়াও বেড়েছে।

দেশ খাদ্যে ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে’ চাল আমদানি কেন করা হচ্ছে জানতে চাইলে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার যে কোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকে। তাছাড়া সরকারের কাছে মজুদ না থাকলে একটি চক্র চালের বাজার অস্থির করে দেবে।”