বিএন প্রতিবেদক ।। ঘূর্ণিঝড় সি‌‌‌ত্রাং এর প্রভাবে হাতিয়া দ্বীপের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,  নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ উপজেলা  ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সি‌‌‌ত্রাং এর পাশাপাশি অমাবস্যার কারণে সাগর উত্তাল থাকায়  সোমবার দুপুরে প্রচন্ড জোয়ারের পানিতে নিঝুমদ্বীপ সহ হাতিয়া উপজেলার বেড়ীবাঁধ এলাকার বাইরে অংশ তিন থেকে চার ফুট জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে। নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মানছূরুল হক শিবলু জানান, নলচিরা ইউনিয়নের দুই টি জায়গায় বেড়ীবাঁধ এ ভাঙন দেখা দিয়েছে, রাতে জোয়ারে ওই বাঁধ দিয়ে ব্যাপকভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করতে পারে। হাতিয়া দ্বীপের সঙ্গে বাইরের সকল প্রকার নৌ যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ফলে যাত্রীবাহী সীট্রাক, স্প্রিডবোট, ষ্টিমার, ট্রলার ও লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে অপেক্ষমান যাত্রীরা।  হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম হোসেন জানান,দ্বীপের ২৪৫ টি আশ্রয় কেন্দ্রে নদীর তীরবর্তী এলাকার লোকজনকে সরিয়ে আনার কাজ করছে উপজেলা প্রশাসন,সিপিপি কর্মী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। হাতিয়া উপজেলা সিপিপির‌ সহকারী পরিচালক মোঃ বদিউজ্জামান জানান, স্থানীয় সিপিপির কর্মীরা একাধিক দলে ভাগ হয়ে লোক জন কে নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য সিএনজি যোগে মাইকিং করে যাচ্ছে। এদিকে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক সভায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল প্রস্তুতির বিষয়টি তুলে ধরা হয় এবং জরুরী কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সকলকে অনুরোধ জানানো হয়। এছাড়া নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ দিনাজ উদ্দিন জানান, নিঝুম দ্বীপে বেড়ীবাঁধ  না থাকায় ব্যাপক এলাকা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে এবং স্থানীয় লোকজন  বিপদের আশঙ্কায় আতঙ্কিত অবস্থায় রয়েছে।