স্টাফ রিপোর্টারঃ নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এক প্রবাসীর স্ত্রী কে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার। হাতিয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের।
স্থানীয়রা জানান , জাহাজমারা ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের ৭ নং ওয়াড়ের মোশারফ হোসেনের ছেলে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউসের সাথে একই বাড়ির হাসান উদ্দিনের পরিবারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল । গত ২৯ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকালে জান্নাতুল ফেরদাউসের দুটি ছাগলের ছানা, হাসান উদ্দিন এর জায়গায় গেলে, হাছান উদ্দিন সহ তার পরিবারের সদস্যরা লোকজন নিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের ঘরের সামনে এসে তাকে গালিগালাজ করতে থাকেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের কথা-কাটাকাটি হয়। জান্নাতুল ফেরদৌস প্রতিপক্ষকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে হাসান উদ্দিন রাহাদ উদ্দিন,সফিউল আলম,পারভিন আক্তার,প্রবাসী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস কে পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকসে ভর্তি করেন।
এ ব্যাপারে গত ৩১/০৮/২৩ রোজ বৃহস্পতিবার তারিখে জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে বিজ্ঞ হাতিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাসান উদ্দিন (৩০), রাহাত উদ্দিন (২৫),সফিউল আলম(৫৫),পারভিন আক্তার(৫০) সহ চার জনকে আসামি করে ৩২৩/৩৪২/ ৩০৭/৩৭৯/ ৩৫৪/ ৫০৬/৫০৬/২)/৩৪ ধারার বিধান মতে সি,আর ২৮১/২০২৩ একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার খবর শুনে বিবাদীরা উত্তেজিত হয়ে বাদী জান্নাতুল ফেরদাউস কে প্রানে মারার হুমকি দেন। নিজের নিরাপত্তার জন্য জান্নাতুল ফেরদাউস ০৪/০৯/২৩ তারিখে হাতিয়া থানায় ১৬১ নং একটি সাধারণ ডাইরি করেন।
ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ২নং আসামী রাহাদ তার টাচ মোবাইল হইতে, ওমানে থাকা আমার স্বামীর নিকট ভয়েস রেকর্ড পাঠাইয়া বলে যে আমাকে কুপিয়ে খন্ড খন্ড করিয়া ফেলিবে, এবং আমার লাশ গুম করে ফেলবে। আমার শাশুড়ী ও আমার মেয়েকে হত্যা করবে। তাদের ভয়ে আমি বাড়িতে থাকতে পারছি না বর্তমানে আমি আমার বাবার বাড়িতে আছি এবং হাসানের পরিবার আমাকে ও আমার পরিবার কে মিথ্যা মামলা দিবে বলে ভয় ভীতি দেখাচ্ছে। আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।