বিএননিউজঃ নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া থেকে ভাসানচরকে ষড়যন্ত্র করে বিচ্ছিন্ন করার প্রতিবাদে ও সন্ধীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্ঠা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছে হাতিয়াবাসী।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাতিয়ার ওছখালি জিরো পয়েন্টে হাতিয়া ভাসানচর রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করা হয়।

আন্দোলনকারীরা ভাসানচরের ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। এবং উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবি করেন তারা।

এ সময় বক্তব্য রাখেন, অধ্যাপক আনম নাঈম শামীম, এডভোকেট নুরুল ইসলাম, এডভোকেট ফজলে আজিম তুহিন, আব্দুল কাদের , আজরু সাফদার, আমজাদ সাফদার, এডভোকেট সাদ্দাম হোসেন, মো: ফাহিম উদ্দিন, সুমন তালুকদার, আরেফিন আলী, রিয়াজ মাহমুদ,আয়াত হোসেন জুয়েল, মো: হালিম ও  ডাক্তার জোবায়ের সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

বক্তারা বলেন, ভাসানচর একটি মিমাংসীত বিষয়। এটিকে সন্ধীপের সাথে নিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা করে আঞ্চলিক দাঙ্গা লাগানোর উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এই বিষয়ে নগ্ন হস্তক্ষেপ করছেন সন্ধীপের বাসিন্দা ও বর্তমান সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্ঠা ফাওজুল কবির খান। যা কোন ভাবে মেনে নেওয়া হবে না। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে। আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করার কারণে এই উপদেষ্ঠার পদত্যাগের দাবি জানানো হয় ।

জানা যায়, নোয়াখালী থেকে সন্ধীপ আলাদা হয় ১৯৫৪ সালে।  পর  জেগে উঠা নতুন সব চর নোয়াখালী জেলার সাথে রেখে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাসানচরের দিয়ারা জরিপের মাধ্যমে ৬টি মৌজায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেই ছয় মৌজার একটি ভাসানচর। পরে হাতিয়া উপজেলাধীন বনবিভাগ ২০০২-২০০৩ সালে বনায়ন সৃজন করে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্প হিসেবে ভাসানচরকে হাতিয়া উপজেলার প্রশাসনিক এলাকার মধ্যে নিরাপত্তাসহ রাষ্ট্রীয় সকল ধরনের কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।