
বিএন নিউজঃ দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চেয়ারম্যান ঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের মানববন্ধনে দুর্বৃত্তের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় অন্তত ৩ জন আহতের ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে চেয়ারম্যান ঘাট বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকা। নদী পাড়ে অবৈধ বালু ব্যবসার ফলে স্থানীয়দের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অবৈধ বালু ব্যবসার পেছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী চক্র। এই চক্রের মধ্যে রয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতারা। এলাকা ভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার করে চলছে লাখ লাখ টাকার বালু বাণিজ্য। জনজীবন অতিষ্ঠের ফলে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে সাত টার দিকে মানববন্ধন করে স্থানীয়রা। এ সময় বালু ব্যবসায়ী মতিন মিয়া ও অন্যান্য ব্যবসায়ীদের পক্ষ হয়ে , শাকিল, রবিউল আনোয়ার এনায়েত মাটি ব্যবসায়ী ইব্রাহিম সরদার সহ ৪০-৫০ জন দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় ফলে তিনজন আহত হন। এ সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান দোলনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
আহতরা হলেন, হাতিয়া উপজেলার হরণী ইউনিয়নের বাসিন্দা কামরুল ইসলাম, মো. জাফর ও মো. হাশেম।
চেয়ারম্যানঘাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. আব্দুর রহমান বলেন, এখানে গত ৫ আগস্টের পর থেকে কিছু ব্যবসায়ী বালুর ব্যবসা শুরু করে এছাড়া একটি অসাধুচক্র অবৈধভাবে নদীর কূল থেকে মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রি করছে, যার ফলে বাজারের পরিবেশ ও স্বাভাবিক জীবন যাত্রা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।এই বালুর কারণে সড়ক ও বাজার এলাকা বালুতে ভরে যাচ্ছে, দোকানপাট মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং ধুলাবালির কারণে ব্যবসা পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের জোরালো আবেদন, অবৈধ বালু উত্তোলন ও বিক্রির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক, যাতে বাজার ও সড়কের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায় এবং জনগণের দুর্ভোগ লাঘব হয়।
অভিযোগের বিষয়ে বালু ব্যবসায়ী আব্দুল মতিন ও ইব্রাহিম সর্দারের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা ফোন রিসিভ করেন নি। ফলে বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
হরণী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তারুজ্জামান দোলন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এসে পরিবেশ শান্ত করেছি। যারা হামলা করেছে তারা বিএনপির কেউ নয়। আমরা বিএনপির মানুষ সাধারণ জনগণের পক্ষে। তবে স্থানীয়দের ও ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। জনজীবন অতিষ্ঠ হয় এমন কিছুই আমরা চাই না।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী শামীম বলেন, আজকে দিনব্যাপী উপজেলা সহকারী কমিশনানের (ভূমি) নেতৃত্বে বালু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৪ টি মামলায় ১০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। জনস্বার্থে এমন অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।
Leave a Reply