বিএন প্রতিবেদক।।
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় আপন বড় ভাইকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে জেলে গেলেন আহাম্মদ উল্যা নামে এক প্রধান শিক্ষক। বড় ভাইয়ের ছেলের করা মামলায় তাকে আটক করা হয়।

রোববার (৮ মে) দুপুরে হাতিয়া থানা পুলিশ আটক এই প্রধান শিক্ষককে কোট হাজতে প্রেরণ করেন। এর আগে শনিবার রাতে তাকে সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইজদি বাজার থেকে আটক করা হয়।

আটক আহাম্মদ উল্যা হলো সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পূর্ব চরচেঙ্গা গ্রামের মৃত শামছল হকের ছেলে। সে একই এলাকার মাইজদী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

মামলার এজহার ও থানা পুলিশের সুত্রে জানাযায়, দীর্ঘদিন থেকে জায়গা জমি নিয়ে বড় ভাই ইসমাইল হোসেনের সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছে। শনিবার দুপুরে বড় ভাই ইসমাইলের পরিবারের সদস্যরা বেড়াতে যায়। এসময় ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রী বাড়ীতে একা অবস্থান করে ছিলেন ।  এই সূযোগে কয়েকজন ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে  আহাম্মদ উল্যা ও তাঁর ভাই ইউছুফ সহ ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রীর উপর হামলা করে । তাঁরা ঘরে প্রবেশ করে জোরপূর্বক জমির দলিলসহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র চিনিয়ে নেয়। বাধা দিলে তারা ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী ও স্থানীয় ইউপি সদস্য সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে তাঁদেরকে উদ্ধার করে। আহত ইসমাইল ও তাঁর স্ত্রীকে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। পরে ইসমাইলের বড় ছেলে নুরুল আলম বাদি হয়ে প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ উল্যাসহ ৭জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ রাতে অভিযান করে আহাম্মদ উল্যাকে আটক করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানা পরিদর্শক ( তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস বলেন, এই ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় প্রধান শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামিদের আটক করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।