নোয়াখালী প্রতিনিধি।। নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদীর ভিতরের অংশ থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ,মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন জনপ্রতিনিধির প্রত্যক্ষ মদদে দুটি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতদিন ফেনী নদী থেকে বালু তুলছে। এতে নদীর পানি প্রবাহ কমে যাওয়াসহ বিভিন্ন স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে। কোম্পানীগঞ্জের পর্যটন এলাকা হিসেবে খ্যাত মুছাপুর ক্লোজারের প্রধান সড়ক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে।
সোমবার (৩০ মে) সরেজমিনে দেখা গেছে মুছাপুর ক্লোজার এলাকার প্রবেশ পথের শুরুতেই মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের লিটন সওদাগরের দোকানের আগে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবাধে বালু উত্তোলনের কাজ চলছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীরের সরাসরি যোগসাজশে তাঁর ভাই জালাল উদ্দিন ও তাদের সহযোগী মাইন উদ্দিন ড্রেজার দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ছোট ফেনী নদীর ভিতরের অংশ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এর ফলে এলাকার ফেনী নদীর পাশে থাকা পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি হাজার হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হবে। এর আগেও ছোট ফেনী থেকে বালু উত্তোলনের ফলে পাকা সড়কে ভাঙ্গন দেখা দেয়।
স্থানীয়দের আশঙ্কা, স্থায়ীভাবে এসব অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে মুছাপুর ক্লোজারে যাওয়ার পাকা সড়ক এবং এলাকার বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন,বালু উত্তোলনের তথ্য আমার থেকে না নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ অথবা চেয়ারম্যানের থেকে নেন। আপনার যোগসাজশে, ক্ষমতাবলে আপনার ভাই জালাল উদ্দিন বালু উত্তোলন করছে। এমন প্রশ্নের জবাবে ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বলেন, দেশের রাজনীতিতে ভাই-ভাইকেও মানে না। ছেলে-বাবাকে মানে না। তাহলে আমার ভাই আমাকে না মেনে,আমার সাথে পরামর্শ না করেও বালু উঠাতে পারে। বাবা যদি ছেলেকে ধরে না রাখতে পারে। ভাই কিভাবে ভাইকে ধরে রাখবে।তিনি এ নিয়ে সরাসরি তাঁর ভাই জালালের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে জালাল উদ্দিন বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, নোয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমি বালু উত্তোলন করছি। তারা আমাকে তেল খরচ দিচ্ছে।
এ বিষয়ে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো.আইয়ুব আলী বলেন,এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো.খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন,আমি আমার তসিলদারকে ওখানে পাঠাচ্ছি।
Leave a Reply