আবু জাফরঃ ঘুর্ণিঝড় হামুন মোকাবেলায় ৭ নং বিপদ সংকেত ঘোষনা করায় নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ১টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে হাতিয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবু মোর্শেদ লিটনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের কারণে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত চলছে। ঘূর্নিঝড় হামুন মোকাবেলায় হাতিয়া উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি প্রস্তুতিমূলক সভা করা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর ও নদী উত্তাল থাকায় দুপুর থেকে হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের সব ধরণের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে করে নলচিরা ও চেয়ারম্যানঘাটে অনেক যাত্রী আটকা পড়েছে।

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সাগর উত্তাল থাকায় নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ার সঙ্গে জেলা সদরসহ সারা দেশের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ ঘোষনা করা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ২৫টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় কোথায় প্লাবিত হওয়ার কোনো সংবাদ পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করার জন্য।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী পর্যবেক্ষক আজরুল ইসলাম বলেন, হামুনের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত চলছে। হাতিয়াসহ উপকূলীয় এলাকায় গতকাল সোমবার ভোর রাতের দিকে ৩৭ মিলিমিটার এবং আজ ৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
উল্লেখ্য, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি সামান্য উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুনে’ পরিণত হয়েছে।