উত্তম সাহাঃ দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বুধবার সকালে হাতিয়া রহমানিয়া ফাজিল (ডিগ্রি)মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিয়াউল ইসলামের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মাদ্রাসার হলরুমে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষক কর্মচারীরা।
জানাগেছে, অধ্যক্ষ এইচ এম জিয়াউল ইসলাম ২০১৫ সালে মাদ্রাসায় যোগদানের পর থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে বেতন স্কেল পরিবর্তন,এনটিআরসিএ কর্তৃক নিয়োগকৃত শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি সহ প্রতিটি কাজে ঘূষবানিজ্য করে আসছেন। মাদ্রাসার লাইব্রেরিয়ান পদে বৈধ এমপিওভুক্ত মাওলানা বাহারুল ইসলাম থাকা সত্বেও তথ্য গোপন করে মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য করে একই পদে নতুন করে লোক নিয়োগদান করেন। যাতে করে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের এমপিও তথা মাসিক বেতন স্থগিত হয়ে যায়।পরবর্তীতে ডিজি অফিস নিয়োগ প্রাপ্ত লাইব্রেরিয়ানের নাম এমপিও থেকে কর্তন করে দেন। কয়েক মাস যাওয়ার পর অধ্যক্ষ এইচ এম জিয়াউল ইসলাম আবার মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্য করে একই পদে নিয়োগ প্রাপ্ত নতুন লাইব্রেরিয়ানের নাম এমপিওভুক্ত করে আনেন। তাছাড়া তিনি দায়িত্ব পালন কালে ১৯.০৭.২০১৯ইং সালে ছাত্রী কেলেংকারীর সাথে জড়িত ছিলেন। যাহা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক প্রত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এছাড়াও মাদ্রাসার পশ্চিম পাশে মাদ্রাসার মালিকীয় কিছু জমি গোপনে বিক্রি করেন তিনি। গর্ভনিং বড়ির সভায় সদস্যদের কাছ থেকে সাদা অলিখিত রেজুলেশন খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে সিদ্ধান্তহীন বিষয় ইচ্ছামত লিখে নিতেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসার উপাধক্ষ্য মাওলানা বাহাউদ্দিন, মাওলানা আব্দুর রহিম. আরবী প্রভাষক এএইচএম মাকছুদুর রহমান, প্রভাষক মাহমুদুল হাচান সহ শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
বক্তারা এই দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষের অনিয়মের সকল বিষয় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন এবং এই ১১২ বছরের সুপ্রাচীন মাদ্রাসাটিকে রক্ষা করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।