প্রায় এক কোটি মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী ডিসেম্বরে বসতে যাচ্ছে বার্ষিক পরীক্ষায়। আওয়ামী লীগ সরকারের চাপিয়ে দেয়া নতুন শিক্ষাক্রম কার্যত বাতিল হয়েছে। এখন প্রশ্ন উঠছে কীভাবে হবে বার্ষিক পরীক্ষা। আবার অনেক স্কুলে পূর্বের শিক্ষাক্রমের আলোকে নতুন করে অধ্যয়নের কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে চলতি বছরের পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন নির্দেশিকা সংশোধন ও পরিমার্জনের কাজ করছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। সূত্র মতে পূর্বে অর্থাৎ ২০১২ সালের জাতীয় শিক্ষাক্রমের আঙ্গিকে পরীক্ষার আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে এনসিটিবি। শিক্ষার্থীদের ছোট প্রশ্ন, বড় প্রশ্ন ও এমসিকিউ টাইপ প্রশ্নে (এক কথায় উত্তর, শূন্যস্থান পূরণ ইত্যাদি) বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। তবে প্রশ্ন হবে বিদ্যমান অর্থাৎ নতুন শিক্ষাক্রমের বই থেকেই। এনসিটিবি’র নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, এটি সংশোধনের কাজ শেষ হলেই মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। তথ্যমতে, চলতি বছর সারা দেশে ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় ২৫ লাখ, সপ্তম শ্রেণির ২৬ লাখ ২৩ হাজার, অষ্টম শ্রেণির ২৫ লাখ ৭১ হাজার এবং নবম শ্রেণির ২৪ লাখের বেশি শিক্ষার্থী নতুন শিক্ষাক্রমে পড়াশোনা করছে।
এনসিটিবি সূত্রে জানা যায়, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বই এখনই পরিবর্তন হচ্ছে না। নতুন শিক্ষাক্রমের বইগুলোই আপাতত পড়তে হবে শিক্ষার্থীদের। আর সেখান থেকেই আসবে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন। নিয়ম অনুযায়ী ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে তবে কিছু বিষয়ে ৫০ নম্বরের পরীক্ষা হতে পারে।
পূর্বেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়ে দিয়েছে, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে চলমান পাঠ্যপুস্তকগুলো ২০২৪ সালব্যাপী বহাল থাকবে। ২০২৫ সালে যথাসম্ভব সংশোধিত ও পরিমার্জিত পাঠ্যপুস্তক সরবরাহ করা হবে। ২০২৪ সালের অবশিষ্ট সময়ে ও বার্ষিক পরীক্ষায় ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জনকৃত মূল্যায়ন রূপরেখার ভিত্তিতে ডিসেম্বর নাগাদ ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সংশোধিত ও পরিমার্জিত মূল্যায়ন পদ্ধতির রূপরেখা শিগগিরই বিদ্যালয়গুলোতে পাঠানো হবে।