প্রবাসে বাংলা | তারিখঃ ডিসেম্বর ২৬, ২০২১ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 17130 বার
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলতে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে দেশে ফিরে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী মাস থেকে মালয়েশিয়ায় কর্মী যাবে। কর্মী প্রতি খরচ হবে লাখ টাকারও কম। আগের মতো সিন্ডিকেট হবে না। সব বৈধ রিক্রুটিং এজেন্সি কর্মী পাঠাতে পারবে।
মঙ্গলবার প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছে ইমরান আহমদ। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ দিতে গত রোববার সমঝোতা স্মারক সই করেছে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে তিন বছর বন্ধ থাকার পর মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বাংলাদেশিদের জন্য খুলতে যাচ্ছে।
এবার কর্মীদের মালয়েশিয়া যেতে খরচ কম হবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেছেন, বিমান ভাড়াসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের সব খরচ নিয়োগকারী দেবে। পাসপোর্ট তৈরি, বিএমইটি’র ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, মেডিক্যাল ফি এবং রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ দিতে হবে কর্মীকে। সব মিলিয়ে লাখ টাকার বেশি হবে না।
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী জানান, অভিবাসন ব্যয় কমাতে দুই দেশ কাজ করছে। আগেরবার সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় ছিল এক লাখ ৬০ হাজার টাকা। এবার তা অনেক কমে আসবে। দুই দেশের এজেন্সি যৌথভাবে কাজ করবে। ব্যয়ের বেশিরভাগ নিয়োগকর্তা বহন করবেন। আগে বিমান ভাড়া কর্মীরা দিত। যার কারণে ব্যয় বেশি ছিল। রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ যত নির্ধারণ করা হবে- তা কর্মীকে দিতে হবে।
কোন খাতে কর্মী পাঠাতে কত টাকা খরচ হবে- মালয়েশিয়া থেকে চাহিদাপত্র আসার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে বলে জানিয়েছেন ইমরান আহমদ। তিনি বলেন, কর্মীদের খরচ কমাতেই তিন বছর লেগেছে মালয়েশিয়ার বাজার খুলতে।
বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে ২০১৬ সালে জিটুজি প্লাস নামে পরিচিত চুক্তি করেছিল মালয়েশিয়া। সেবার ১০টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে কর্মী নিয়েছিল। সেসময় এ এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর সিন্ডিকেট হিসেবে পরিচিত পায়। তাদের মাধ্যমে পৌনে তিন লাখ কর্মী যায়। অধিকাংশ কর্মী তিন থেকে চার লাখ টাকা খরচ করে মালয়েশিয়া গিয়েছিল। এতে অন্তত পাঁচ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে অভিযোগ তুলে ২০১৮ কর্মী নেওয়া বন্ধ করে দেয় তৎকালে দেশটির ক্ষমতায় ফেরা মাহাথির মুহাম্মদের সরকার।
ইমরান আহমদ বলেন, আগেরবার সিন্ডিকেটের কারণে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার বন্ধ হয়েছিল। আগামী কর্মী পাঠাতে সিন্ডিকেট গ্রুপিংয়ের সুযোগ থাকবে না। তবে এবার কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়ার রিক্রুটিং এজেন্সি যুক্ত থাকবে। যা আগে ছিল না।
প্রবাসী কল্যাণসচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেছেন, শুধুমাত্র নিবন্ধিত কর্মীরা মালয়েশিয়া যেতে পারবেন। বিএমইটি’র ডাটাবেজের মাধ্যমে কর্মী পাঠানো হবে। নিয়োগ শুরুর আগে লেনদেন না করতে মালয়েশিয়া যেতে ইচ্ছুকদের সতর্ক করেছেন সচিব।
তিনি বলেন, এমওইউ সইয়ের ফলে নিয়োগ, কর্মসংস্থান এবং প্রত্যাবাসনের আদর্শ কাঠামো প্রতিষ্ঠার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
Leave a Reply