নুরুন্নবী নবীন।। নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নে শৌচাগারের সেপটি ট্যাংক থেকে মো.ওমর ফারুকের মরদেহ উদ্ধারের ১২ঘন্টার মধ্যে হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ । একই সাথে এ হত্যাকান্ডে জড়িত আসামি আনছারুল করিম কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত করিম কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।

সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে প্রেস বিফিং এ নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো.শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রেস বিফিংয়ে বলা হয়েছে, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আসামি আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। গত ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে অপরকে তালাক প্রদান করে। তালাক প্রদান করায় আনছারুল করিম তাঁর স্ত্রীর উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করে আনছারুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাত মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে গত ৫ ই মে আনসারুল করিমের শ্বশুর বাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসে। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তাঁর আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুর বাড়ির উত্তর পাশে সুপারি বাগানের মধ্যে নিয়ে মামার শার্ট খুলে গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

প্রেস বিফিং আরো বলা হয়, এরপর আসামি তার শ্বশুর বাড়ির শৌচাগারের সেপটি ট্যাংকের ভিতর মামার লাশ ফেলে চট্রগ্রামে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, গতকাল রোববার ৮ মে দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯নং কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদ সংলগ্ন চুটকি বাড়ি সেপটিক ট্যাংক থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।